ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলের কুকর্মের ভার সইতে না পেরে অবশেষে গাছের সাথে দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহুতি দিল বাবা বসু মিয়া। শনিবার সকালে নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে তার আত্মীয় বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে সদর উপজেলা শালগাঁও গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ জানান, গেল বুধবার বসু মিয়ার বাড়ি থেকে ছেলের শ্যালিকার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তার ছেলে নাঈমের বিরুদ্ধে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর পুরো পরিবার বাড়ি ছাড়া ছিল। সকালে স্থানীয় লোকজন খবর দেয় ফাঁসিতে এক ব্যক্তির মরদেহ ঝুলে আছে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দুলাভাই নাঈম ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে তাকে সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও বিজয়নগর সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রেজাউল কবির জানান, নিহত তামান্নার মায়ের দেয়া অভিযোগের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাঈমের মামার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এখন মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক