শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নশাসন সরদারকান্দি গ্রামে ইমরান হোসেন সরদার (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সে ওই গ্রামের মৃত ফজল সরদারের ছেলে।
শনিবার রাতে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তি নশাসন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার ৯ বছরের একটি মেয়ে আছে।
নড়িয়া থানা, গ্রামবাসী ও নিহতর পরিবার সূত্র জানায়, নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামে বাড়ি ইমরান সরদারের। তিনি নশাসন ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। এছাড়া নশাসন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চেয়ারম্যানের বাড়ি ডগরি বাজারে (প্রাইভেটকার) গাড়ি রেখে অটোরিক্সা করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ইমরান। যাওয়ার পথে শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কের নশাসন মাঝিকান্দি বড় কবরস্থানের কাছে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তার অটোরিক্সার গতিরোধ করে এবং দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক তাকে ঢাকা প্রেরণ করেন। ঢাকায় নেয়ার পথে ফেরিতে মাওয়া এলাকায় পৌঁছলে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।
হত্যার ঘটনায় নশাসন মাঝিকান্দি গ্রামে নশাসন ইউনিয়ন পরিষদ ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নিহার বেগমের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। মেম্বার নিহার বেগম বলেন, রবিবার ভোর রাতে হঠাৎ করে কিছু লোকজন আমাদের বাড়িতে ঢুকে তিনটি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে । তখন ৫টি গরু, ২টা ছাগল, নগত টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় তারা।
নশাসন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউর রেজা মামুন বলেন, ইমরান আমার সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ইমরানকে যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানাই।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, দুর্বৃত্তরা ইমরানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইমরানের মরদেহ ময়নাতদন্তর জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ