অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রাজিলে ফুটবলে প্রশিক্ষণ নিতে গেলেন রংপুর পীরগঞ্জের ছেলে নাজমুল হোসাইন আকন্দ। যদিও স্বপ্নটা শুরুতে এত বড় ছিল না। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল টিমের হয়ে খেলাটাই তার স্বপ্ন ছিল ।

নাজমুলের ফুটবলে হাতে খড়ি পীরগঞ্জ ফুটবল একাডেমিতে। নাজমুলের বয়স যখন ১০/১২ বছর, তখন থেকেই পীরগঞ্জ ফুটবল একাডেমিতে নিয়মিত অনুশীলন করতে থাকেন। অনুশীলন করতে করতে এক সময় পীরগঞ্জ ফুটবল একাডেমির নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি।

আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নাজমুল এক সময় ইট ভাটাতে কাজ করতেন। নাজমুলের এ প্রতিভার বিকাশ ঘটে পীরগঞ্জ ফুটবল একাডেমির মাধ্যমে। অনূর্ধ্ব-১৬ মূল জাতীয় টিমের সঙ্গে কাতার সফরেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ডিফেন্ডার নাজমুল। দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব ঢাকা আবাহনী লি. এর হয়ে নিয়মিত খেলেন অনূর্ধ্ব ১৮ দলে। পরবর্তীতে ঢাকা আবাহনী লি. এর মূলটিমের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ হয়। নাজমুলের স্বপ্ন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ফুটবলার হওয়া।

নাজমুল দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মতো অনুশীলনের জন্য বাংলাদেশের চার ফুটবলার ব্রাজিল যাবে, খবরটি আগেই শোনা গিয়েছিল। সেই চারজন ভাগ্যবান কিশোর ফুটবলারের নামও ছিল চূড়ান্ত। কিন্তু মাঝে ব্রাজিল সফর নিয়ে তৈরি হয় নানা অনিশ্চয়তা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের চার ফুটবলার মঙ্গলবার রাতে এক মাসের অনুশীলনের জন্য ব্রাজিলের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান। যুবও ক্রীড়ামন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ডেভেলপমেন্ট কাপ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ থেকে ২০ জন ডাকা হয়েছিল বাছাই পর্বে ।

দুই দিনের বাছাই পরীক্ষায় সেরা হয়ে, পেলে-গারিঞ্চা-নেইমারদের দেশে অনুশীলনের টিকিট পেয়েছেন, রংপুরের নাহিদ- কুড়িগ্রামের ওমর ফারুক মিঠু-রংপুর পীরগঞ্জের নাজমুল আকন্দ ও রাজশাহীর আদিবাসী ছেলে- জগেন লাকরা।

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, ব্রাজিলের ভাস্কো দা গামা ক্লাবের অধীনে অনুশীলনের কথা রয়েছে তাদের।

বিডি প্রতিদিন/কালাম