টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. ওবাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিংবা পাশ করানোর লোভ দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকের বিচার দাবিতে গত দু-তিন দিন যাবত অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলকাবাসী বিক্ষোভ করছে এবং উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ময়মনসিংহ আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম ছাত্রদেরকে দিয়ে সমকামিতা ও ছাত্রীদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে উত্ত্যক্ত করে যৌন নির্যাতন চালায়। লিখিত অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, ঐ শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক তার সাথে সকামিতায় বাধ্য করে এবং ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে রাত্রিযাপন করে। এ ছাড়া স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের তার কাছে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতরস্থানে হাত দিয়ে যৌন নির্যাতন চালায়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলকাবাসী এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বিদ্যালয় ঘেরাওসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এলাকাসীর সাথে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। ঐসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীরতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ আল ফরিদ দ্রুত শাস্তির আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় অভিযুক্ত শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম এলাকার ছাত্রলীগের সদস্য জাফর আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি ৭ ধারা মামলা করে। এতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইংরেজি শিক্ষক ওবাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ শিক্ষার্থীরা করেছেন সকল অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপরে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান খান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
