পার্বত্যাঞ্চলের উৎসবপ্রিয় সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুরা মেতে উঠেছে শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দে। এরই মধ্যে জমে উঠেছে পূজা মণ্ডবগুলো। ছড়িয়ে পরেছে উৎসবের আমেজ। পাহাড়ে শুধু বাঙালি হিন্দুরা নয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ও এ দুর্গাপূজা উৎসব পালন করে থাকে। তাই এ পুজায় কিছুটা ভিন্নমাত্র যোগ হয়েছে। তাই ত্রিপুরা পল্লীগুলোতে এখন সাজ সাজ রব।
শনিবার নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হয় মহাসপ্তমী। ভোরে দর্পণে কলাবউ স্নান। দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সপ্তমী পূজো। এরপর দেবীর আরাধনা ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিমার সমুখে দেওয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি। মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের ডোলে যেন ধ্বনিত হচ্ছে পাহাড়ের হিন্দুর হৃদয়তন্ত্রীতে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ দল বেঁধে পূজা দেখতে আসছে। সন্ধ্যা নামলেই পূজামণ্ডপগুলোয় দর্শণার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বাহারি পোশাকে আর অঙ্গসজ্জায় নিজেদের সাজিয়ে রাঙিয়ে উৎসব-আনন্দে মেতে উঠে শিশু-কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা। রাঙামাটির বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঝলমলে আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে ওঠে। আলোকসজ্জায় এবার আনা হয়েছে ভিন্নতা। এ ছাড়া মন্দিরে মন্দিরে শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর ও ঢাকের বাদ্য।
এবছর শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব পালিত হচ্ছে রাঙামাটি জেলা ১০টি উপজেলার ৪২টি মণ্ডপে। তার মধ্যে রাঙামাটি শহরে ১৪টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৪টি, লংগদু উপজেলায় ৪টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৭টি, কাউখালী উপজেলায় ৪টি, রাজস্থলী উপজেলায় ৩টি, বরকল উপজেলায় ২টি এবং জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, নানিয়ারচর উপজেলায় ২টিতে এ পূজা উৎসব চলছে।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির বলেন, রাঙামাটি ১০টি উপজেলার ৪২টি পূজামণ্ডপ ঘিরে পুলিশের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
