টাঙ্গাইলের বাসাইলে শ্বশুরবাড়ির ওয়ারিশ বিক্রি করে টাকা না দেয়ায় স্ত্রীকে বর্শা দিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। শনিবার উপজেলার স্থলবল্লা পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যান পাষণ্ড স্বামী শাহীনুর রহমান (৩৫), শ্বশুর আব্দুস সামাদ ও আর শাশুড়ি তারা বানু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম তুহীন আলী।
তিনি জানান, নিহত স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (২৭)। উপজেলার সাবেক ইউপি সদস্য মুন্নান মিয়ার মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী। স্বপ্নাকে বর্শা দিয়ে একাধিক আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পরে স্বপ্নার মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামীর বাড়ির লোকজন। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, স্বপ্না আক্তারের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে একই উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের আব্দুস সামাদের প্রবাসী ছেলে শাহীনুর রহমানের বিয়ে হয়। বিগতে বছরগুলোতে শাহীনুর বিদেশ থেকে এসে কাজকর্ম বাদ দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। মাদকসেবী শাহীনুর বিভিন্ন সময় স্বপ্নাকে চাপে ফেলে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতেন। সম্প্রতি শাহীনুর তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ির ওয়ারিশ বিক্রি করে টাকার আনার জন্য চাপ দেয়। স্বপ্না তার সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার শেষ সম্বল বাবার বাড়ির ওয়ারিশ আনতে অসম্মতি প্রকাশ করলে শুরু হয় স্বামীর নির্যাতন। সপ্তাহ খানেক আগে স্বপ্না মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে শাহীনুরের মা-বাবা পুত্রবধূ স্বপ্নাকে বুঝিয়ে পুনরায় স্বপ্নাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নিহত স্বপ্নার বাবা মুন্নান মেম্বার জানান, জমি বিক্রি করে টাকা না দেয়ার কারণে স্বপ্নাকে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে হাসপাতালে ফেলে রেখে যান। এর আগে, হাসপাতাল থেকে আমাদের ফোন করে জানানো হয়। গিয়ে দেখি মেয়ের মরদেহটি পড়ে আছে। আর এ সময় শাহীনুরসহ ওই পরিবারের কেউ হাসপাতালে ছিল না। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক