ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পূর্ব সীমানা দিয়ে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলায় যাওয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ মির্জাপুর-হরষপুর সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার অন্তত ২০-২৫টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন। এ রাস্তার মধ্যে হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমপার্শ্বে একটি ব্রিজ ভেঙে যায়। সে ভাঙা অংশে কাঠ দেয়া হলেও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে ২০-২৫টি গ্রামের বাসিন্দােদের।
জানা যায়, কিছু দিন আগে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজের পূর্বের ভাঙা অংশ সংস্কার করে। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই ব্রিজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যায়। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিজয়নগর ও মাধবপুর দুই উপজেলার হাজার হাজার পথচারীরা ঝুঁকির্পূণ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করেন। মাধবপুর উপজেলার দুলাল মিয়াসহ যারা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করেন।
নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র রাশেদ ও নবম শ্রেণির ছাত্রী লুবনা বলেন, এর আগে দুইবার ব্রিজটি মেরামত করা হয়েছে। এটি আবারও ভেঙে যায়। এখন আতঙ্কের মধ্যে আমাদের ব্রিজ পার হতে হয়। কখন জানি ভেঙে নিচে পড়ে যাই।
বিজয়নগর উপজেলা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামরুল হাসান বলেন, দুই উপজেলার মানুষের যাতায়াত করার জন্য এই ঝুঁকির্পূণ ব্রিজটি যেন খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করা হয়। কেননা এই ব্রিজ এখন সাধারণ মানুষের জন্য আতঙ্ক।
হরষপুর ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান বলেন, আমি ব্রিজটি পরিদর্শন করেছি। এসময় আমার সাথে উপজেলা প্রকৌশলীও ছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ব্রিজটির ব্যাপারে আমি অবগত। ব্রিজের ভাঙা অংশ মেরামত করতে আবেদন করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন