শৈত্য প্রবাহ, অবিরাম ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় দিনাজপুরের বীজতলাগুলো ক্ষতির মুখে পড়েছে। হলুদ ও লালচে রঙ ধারণ করে গোড়ায় পচন ধরে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে বোরো আবাদ নিয়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, খানসামাসহ বিভিন্ন উপজেলার কৃষক শঙ্কিত।
জানা গেছে, কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনেকে ইরি-বোরোর বীজতলাকে শৈতপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা করতে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার কৃষক বেড তৈরীর মাধ্যমে শুকনো বীজতলা নির্মাণের দিকে ঝুঁকছে। জমিতে বেড তৈরী করার পর তাতে জৈব সার প্রয়োগ করে ধানের বীজ ছিটিয়ে, উপরে পাতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
খানসামার ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৃষক ময়নুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে বীজতলার রং পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বীজতলাকে রক্ষা করতে স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফুলবাড়ী উপজেলার মেলাবাড়ী গ্রামের কৃষক খতিব উদ্দিন বলেন, বোরো ধান রোপন করতে উন্নত জাতের বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছি। চারাগুলো বেশ পুষ্ট হলেও ঘন কুয়াশা, মৃদু বৃষ্টি ও বাতাসে বীজতলা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। অনেক চারাগাছ মরার মতো হয়ে গেছে। এতে চারাগাছের সংকট দেখা দিতে পারে। তাই বীজতলা নিয়ে ভয় কাটছে না।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ টি এম হামিম আশরাফ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। শীত বা কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা রাতে ঢেকে দিতে হবে। একইসঙ্গে সকালে বীজতলায় সেচ দিয়ে চারাগাছের পাতা ও ডগা থেকে কুয়াশার ঠান্ডা পানি ফেলে দিতে হবে। ফ্যাকাসে হলেও বীজতলার ক্ষতি হবে না। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, উপজেলার ১৮৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক চাষের বার্তা নিয়ে মাঠে মাঠে ঘুরছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন