মিয়ানমার থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পিয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন।
সোমবার একদিনে ৯ জন ব্যবসায়ীর কাছে ১৮টি ট্রলারে করে ১ হাজার ১৯২ দশমিক ৬৭৯ মেট্রিকটন পিয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে খালাস করা হয়েছে।
চলতি জানুয়ারি মাসে ১১ দফায় মিয়ানমার থেকে নৌপথে ৪ হাজার ৭২১ দশমিক ৮৮৯ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আফসার উদ্দিন।
তিনি বলেন,গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ৩০ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে প্রথম চালানে ৬৫০ টন পিয়াজ আসে। এরপর থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৬৫ হাজার ৪২৯ দশমিক ৯১৬ টন পিয়াজ আমদানি করা হয়।
সোমবার সকালে ব্যবসায়ী যদু বাবুর ১৩৪ দশমিক ৩২৭, ছৈয়দ করিমের ২৫৬ দশমিক ৬৩২, কামরুল হাসান ১৪২ দশমিক ৫৭০, বাহদুরের ৭০ দশমিক ৬৩৬,আব্দুল জব্বারের ৮৫ দশমিক ৪২৭, শওকতের ২২৮ দশমিক ৮৬০, মোহাম্মদ সজিবের ২১৩ দশমিক ৮৫৫, মোঃ নাছিরের ১৭ দশমিক ৬০১, নুর মোহাম্মদের ৪২ দশমিক ৭৭১ মেট্রিকটন পিয়াজ স্থলবন্দর আসে। তবে এখনও পাচঁ শতাধিক মেট্রিকটন পিয়াজ খালাসের অপেক্ষায় ট্রলারগুলো নদীতে নোঙর করে আছে।
তিনি আরও বলেন,মিয়ানমার থেকে আরও কয়েকশ’মেট্রিকটন পিয়াজ ভর্তি একাধিক ট্রলার স্থলবন্দর পথে রওনা দিয়েছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় পিয়াজ আমদানি বাড়াতে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পিয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৯১টি পিয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম