বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
ভাগ্নিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মামা খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
ভাগ্নিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মামা নাজমুল হককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বখাটে সুমনসহ তার লোকজন। একই সঙ্গে আহত করা হয়েছে স্কুল ছাত্রীর বাবা ও ভাইকে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঘা-লালপুর সীমান্ত এলাকার সুলতানপুর-মনিহারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেত আলীর ছেলে সুমন (১৯) একই গ্রামের সাজাহান আলীর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বৈশাখীকে গত ৬ মাস ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার থেকে বারবার বলার পরেও সুমন ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ করেনি। সোমবার বিকালে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় সুমন তার হাত ধরে টানা হেঁচড়া করে। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দুপুরে সুমনকে শাসন করে স্কুলছাত্রীর বাবা সাজাহান আলী ও স্কুলছাত্রীর ভাই তুষার (২২)।
স্কুলছাত্রীর ভাই তুষার বলেন, ‘দুপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মনিহারপুর বাজার থেকে আমার বাবা বাড়ি ফেরার সময় ভোলার মোড়ে তাকে মারপিট করে সুমনসহ তার লোকজন। এ খবর পেয়ে আমি ও আমার মামা নাজমুল হক (২৮) একটি মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে পৌঁছামাত্র সুমনের নেতৃত্বে-মিন্টু, পানা, রানা, সুলতান,সম্রাট, আরিফ, কামরুল, মিঠু ও নাজমুল এসে আমাদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে এবং মামার দুই হাতের কবজিতে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।’
স্থানীয়রা স্কুলছাত্রীর বাবা সাজাহান আলী ও মামা নাজমুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাজমুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুনাহার কান্তা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে নাজমুল হককে হাসপাতালে নিয়ে আাসার পথে তিনি রাস্তায় মারা যান।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, নাজমুল হকের বাড়ি বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। তার পিতার নাম আজিজুর রহমান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিভাগের আরও খবর