বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার নামে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তারা গ্রাহকদের প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এনজিওতে সঞ্চয় রাখা কমপক্ষে ৭০ জন গ্রাহক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ধুনট উপজেলার হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঠিকানা দিয়ে সম্প্রতি কার্যক্রম শুরু করে। এলাকায় ঋণ দেওয়ার কথা বলে হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রুহুল আমিন লিটনের নির্মাণাধীন ভবনের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে চেয়ার টেবিল রাখে।
ধুনট উপজেলার মাটিকোড়া, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, পৌর এলাকার ভরনশাহী, পারধুনটসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে সাধারণ ঋণ, গাভী ক্রয়, বিভিন্ন যন্ত্র ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা কিনতে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেয় এনজিও কর্মকর্তরা। একই কৌশলে তারা এই এলাকার প্রায় তিনশ জনকে সদস্য করে। এর মধ্যে ৭০ জন গ্রাহক এক লাখ টাকা পাওয়ার আশায় ১০ হাজার, দুই লাখ টাকার জন্য ২০ হাজার টাকা করে সঞ্চয় এনজিও কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেন। বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের মাঝে ঋণ বিতরণের কথা ছিলো। এ অবস্থায় গ্রাহকদের কিছু না বলেই বুধবার সন্ধ্যায় এনজিও কর্মকর্তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
উপজেলা মাটিকোড়া গ্রামের গোলাম হোসেন জানান, তিনি মুদি দোকানে ব্যবসা করেন। ওই সংস্থা থেকে বৃহস্পতিবার তাকে দুই লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। সংস্থাটিতে সঞ্চয় হিসাবে তিনি ২০ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু তিনি কোন লোন পাননি। একইভাবে এনজিওর গ্রাহক শাহাদৎ হোসেন, তাহের আলী, সাইফুল ইসলাম, শাহ আলম, রেফাজ উদ্দিন ও আব্দুল মোমিন জানান, বুধবার বিকেল থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ওই সংস্থার নামে ব্যবহৃত নাম্বারের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে এনজিও কার্যালয়ের ভবন মালিক রুহুল আমিন লিটন বলেন, আমার ভবনের নিচতলা পাঁচ লাখ টাকা জামানতসহ মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাড়া দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই এনজিওর কর্মকর্তারা আর যোগাযোগ করেনি এবং তাদের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তবে ঋণ দেওয়ার কথা বলে এলাকার অনেক গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে কর্মকর্তারা।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্ত এ বিষয়ে কোনো গ্রাহক লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন