দেশের ৩০ উপজেলায় যাচ্ছে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার কৃষকদের উৎপাদন করা ধানের বীজ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পার্টনার প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে দেবিদ্বার উপজেলায় কৃষক-কৃষানিদের সমাবেশ পার্টনার কংগ্রেসে এ তথ্য জানানো হয়। উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ। দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন কংগ্রেসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে পার্টনার প্রোগ্রামের কুমিল্লা অঞ্চলের মনিটরিং অফিসার মো. সারোয়ার জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) শেখ আজিজুর রহমান ও উপজেলা সমবায় অফিসার মাইনুদ্দিন বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।
পার্টনার কংগ্রেসে ইউসুফপুর পার্টনার ফিল্ড স্কুল ও কৃষক সেবা কেন্দ্রের কৃষক এমদাদুল হক তাদের সমিতিতে সাড়ে আট লক্ষ টাকা সঞ্চয়ের পাশাপাশি ইউনিয়নের ৩০ হেক্টর জমিতে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ১০২ জাতের ধান চাষের সফলতার গল্প শোনান। অপরদিকে পৌরসভার ছোট আলমপুর পার্টনার ফিল্ড স্কুল ও কৃষক সেবা কেন্দ্রের কৃষক ওসমান সরকার সংগঠনের দেড় লক্ষ টাকা সঞ্চয়ের পাশাপাশি উত্তম কৃষি চর্চার আওতায় লাভবান সবজি উৎপাদনকারী হওয়ার গল্প শোনান। সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের ভূমিহীন কৃষক রফিক আহমেদ ব্রি ধান ১০০ সহ উন্নত জাতের ১০ টন বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের গল্প কংগ্রেসে উঠে আসে। বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের প্রায় ১০ টন ব্রি ধান ১০৮ বীজ উৎপাদন ও সরবরাহের বিষয়টিও কংগ্রেসে আলোচিত হয়।
কৃষক রফিক আহমেদ বলেন, তিনি ধানের বীজ উৎপাদন করেন। সেই বীজ কুমিল্লা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার অন্তত: ৩০টি উপজেলার কৃষকরা ক্রয় করেন। তিনি বীজ বিক্রি করেন সফলতার মুখ দেখেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেবিদ্বার উপজেলায় ব্রি ধান ১০০ পরবতীতে ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৮ হে. জমিতে, ধানের পরিবর্তে অন্যান্য ফসলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে ১২০ হেক্টর জমিতে। সেচ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি স¤প্রসারিত হয়েছে ৩৮ হেক্টর জমিতে। এছাড়া শুধু দেবিদ্বারসহ দেশের ৩০ টি উপজেলায় ২ টনের বেশি ব্রি ধান ১০০ পরবর্তী আমন ও বোরো ধানের বীজ সরবরাহ করে বিভিন্ন এলাকায় ব্রি ধান১০০ পরবর্তী জাত সমূহ সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম