নেত্রকোনার দূর্গাপুর পৌর এলাকার বেশকটি স্কুলের কোমলমতি শিশুদের প্রতিদিন কাঁদা পাড়িয়েই ক্লাসে ঢুকতে হয়। শুকনো মৌসুমেও বর্ষার যন্ত্রণা পোহাতে হয় ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের। সীমাহীন দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। জেলার পাহড়ি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী উপজেলা দূর্গাপুরের পৌর শহরের এ যেনো নিত্যদিনের সঙ্গী। পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী থেকে প্রতিদিন ভেজা বালু নিয়ে যাওয়ায় এমনটা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের। সারাদিন রাতে শত শত ট্রাক লড়ি ভেজা বালু বোঝাই গাড়ি দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। আর এতে করে তেরী বাজার ঘাট, নাজিরপুর মোড়সহ পৌর এলাকার বেশ কিছু রাস্থা শুকনো মৌসুমেও কর্দমাক্ত হয়ে থাকে। ফলে প্রতিদিন এ সকল কাঁদা মাড়িয়ে অথবা স্কুলের সামনের রাস্তা পরিস্কার করেই স্কুল করতে হয় ওই শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুস সালাম জানান, দূর্গাপুর পৌরসভাসহ আশপাশের ইজারাকৃত এলাকা থেকে ভেজাবালু পরিবহন নিষেধ করা হয়েছে। পৌরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাস্তায় লড়ি চলাচল বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবুও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করছে। এ অবস্থা নিরসনে পৌর ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন