৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৮:০০

সুন্দরবনে কুমিরে খাওয়া বাঘের মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

সুন্দরবনে কুমিরে খাওয়া বাঘের মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত

সুন্দরবন থেকে কুমিরে খাওয়া একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে অবশেষে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কুদ্দুস মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত করেন। 

এসময়ে তিনি প্রায় অর্ধেক অংশ কুমিরে খাওয়া এই মৃত বাঘটির শরীর থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ফরেসিক ল্যাবে পাঠিয়ে দেন। 

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত কালে শরণখোলা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন, সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কবরখালী খালের চর থেকে এই রয়েল বেঙ্গল টাইগারটির মরদেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন বিভাগ। পিছনের অংশ কুমিরে খাওয়া ও বাকী অংশ পচে যাওয়া প্রায় ২০ বছর বয়সি এই বাঘটি পুরুষ না মহিলা প্রজাতির তা জানা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে নদীর পাড়ে পানি খেতে নেমে আর সেখান থেকে উঠতে না পারে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। 

ওইদিনই সুন্দরবন বিভাগের দুবলা ফরেষ্ট অফিস প্রাঙ্গনে মৃত বাঘটিকে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে একদিন পর মাটিচাপা দেয়া বাঘটিকে উঠিয়ে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।  ময়নাতদন্ত শেষে মৃত বাঘটিকে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে ফের মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জিএম আব্দুল কুদ্দুস জানান, মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বাঘটির শরীরের অধিকাংশ স্থানে পচে গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে। তবে, মৃত বাঘটির শরীর থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাবার পর বাঘটির মারা যাবার সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর