জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে অপহরণকারীদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে ১৪ বৎসর বয়সী মাদরাসা পড়ুয়া এক কিশোরী। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামে কিশোরীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অপহরণের মূলহোতা ও ৯ সহযোগীকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি কওমী মাদরাসার বিশেষ জামাত বিভাগের ছাত্রী।
গ্রেফতারকৃত মূলহোতা উপজেলার বিষমপুর গ্রামের মো. সাইদুল ইসলামের পুত্র মো. শাকিল (২১)। তার সহযোগীরা হলেন, পার্শ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার পশ্চিম ইমাদপুর গ্রামের মো. শরীফুল ইসলাম (২০), ইমাদুপর গ্রামের মিজানুর রহমান (১৭), কাজিয়াকান্দা গ্রামের রাতুল ইসলাম (১৬), গোদারিয়া গ্রামের মুনাদজেল আল মাহি (১৬), আওলাদ হোসেন (১৭), নয়ন মিয়া (১৬), শাহজাহান সম্রাট (১৬), সাহাব (১৫) ও পাইক পাড়া গ্রামের আশিক (১৭)।
এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা হরমুজ আলী বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-১১)।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বখাটে শাকিল দীর্ঘদিন ধরে অপহৃত ওই কিশোরীকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত। কিশোরীর কাছ থেকে কোন প্রকার সাড়া না পেয়ে ঘটনার দিন বিকেলে নিজ বাড়ী থেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে আসে। এ সময় কিশোরীর ডাক-চিৎকারে অপহৃতার নানা হাজী মোস্তাক আহমেদ সহ স্থানীয়রা ৪টি মোটরবাইক ও অপহরণকারীদের আটক করে ৯৯৯-এ কল করেন। সংবাদ পেয়ে হালুয়াঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক ও সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপহরণকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করে ৪টি মোটরবাইকসহ ওই অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় অত্র থানায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল