অনলাইন পত্রিকা খুলনার কণ্ঠের সম্পাদক শেখ রানা আটক হয়েছেন মাদক মামলাতে। তার পরিবারের অভিযোগ, রানাকে ফাঁসানো হয়েছে। এর আগেও শেখ রানা ও তার স্ত্রী সাংবাদিক ইশরাত ইভার নামে ৫৭ ধারায় মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একটি মহল। এক মামলায় দুই রকমভাবে চার্জশিটও হয়েছিলো। যেটা এখন ভাগ করে খুলনা ও ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়েছে।
এই মামলা চলাকালীন ইতোমধ্যে মামলাটি খুলনার আদালতে বিচারকের মতামত অনুযায়ী মিথ্যা হয়েছে। এ কারণে তিনি আবারও বাদীকে মামলার সঠিক সত্য জানানোর জন্য আহবান করেছেন।
পরিবার আরও জানায়, শহরে মাদক বিরোধী অভিযানে খুলনার কণ্ঠের সম্পাদক শেখ রানা খুলনার প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে। প্রায় অর্ধশত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করেছে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশ।
খুলনা জেলা ডিবি পুলিশের ২০১৯ সালের একটি চাঁদাবাজি মামলায় ৭জন বরখাস্ত হয় এবং নতুন টিম যোগ হয় গত ৫ ফেব্রুয়ারি। এই টিম তারা শেখ রানাসহ তিনজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে শেখ রানার স্ত্রী সাংবাদিক ইশরাত ইভা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তার স্বামী বাসা থেকে বাইরে বের হয় এবং ফোনে জানায়, ২০০ গজের ভিতরে তার অবস্থান। এরই ভিতর বাসায় আসতে দেরি হওয়ায় শেখ রানার স্ত্রী মুঠো ফোনে তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে শেখ রানা মাত্র ২৩ সেকেন্ড কথা বলে ফোন কেটে দেয়। শুধু এটুকু বলেন যে আমি যশোর। এর ভিতরেই ফোন কেটে গেলে শেখ রানার স্ত্রী ফোন দিতে থাকে তার ব্যবহৃত গ্রামীন ফোন নাম্বারে। কিন্তু ফোন বারবারই কেটে দেয়া হচ্ছিলো। এক পর্যায় ফোন অফ পান ইশরাত ইভা। রাত ১২টার বেশি হওয়ায় ইশরাত ইভা অসুস্থ ছেলেকে রেখে বাইরে যেয়ে খোঁজ নিতে পারেনি। রাত শেষ হলে পরদিন শুক্রবার সকাল থেকেই শেখ রানার স্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়া শুরু করে। খুলনাসহ যশোর কোতোয়ালি থানায়ও খোঁজ নেন কিন্তু কোন খোঁজই পাননি। এরইমাঝে হঠাৎ একটা নাম্বার দিয়ে ফোন আসে এবং জানানো হয় খুলনা জেলা ডিবি পুলিশে খোঁজ নিন। পরে জানা যায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় শেখ রানাসহ তিনজনকে আটক করা হয় কিছু সময়ের ভিতরেই আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। শেখ রানার সাথে সাথে কথা বলে ইশরাত বলেন, রানা বলেছে এটা বড় ষড়যন্ত্র কিন্তু তাকে বলা হয় তুমি এ বিষয়ে কিছু লিখো না। সাবধানে থেকো বাচ্চাকে নিয়ে।
মামলার বাদী খুলনা জেলা ডিবির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদ জানান, খুলনার কণ্ঠের সম্পাদক শেখ রানাকে একটি প্রাইভেট গাড়ির ভিতরে পাওয়া গিয়েছে। গাড়িতে দুইটা কালো ব্যাগে ১০০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। গাড়িতে থাকা সবাই এই মাদকের সাথেই জড়িত বলে আমাদের ধারনা। শেখ সোহেল ১নং আসামি, শেখ রানা ২নং এবং ৩নং আসামি গাড়ির ড্রাইভার।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা