ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগে উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ।
শনিবার সন্ধ্যায় হরিনাকুণ্ডু প্রেসক্লাবের জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে এ ঘোষণা দেন হরিণাকুণ্ডু প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রয়ারি এসএসসি ও সমমানের বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলার পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে তথ্য সংগ্রহের জন্য যান হরিণাকুণ্ডু প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুজ্জামান তাজু, সাধারণ সম্পাদক এইচ মাহবুব মিলুসহ ৪ মিডিয়াকর্মী। সে সময় কেন্দ্রে উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তা উপস্থিত থাকায় তারা হল সুপারের সাথে কেন্দ্র প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ওই সময় ওসি আসাদুজ্জামান সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে থাকতে বলেন এবং অন্য দুই সাংবাদিককে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
এ নিয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি এম. সাইফুজ্জামান তাজুর সাথে ওসির বাকবিতণ্ডা হয়। ওসি তার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যদের দিয়ে প্রেসক্লাবের দুই যুগ্ম-সম্পাদককে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
ঘটনাটি প্রেসক্লাব সভাপতি তাৎক্ষণিকভাবে ঝিনাইদহের সহকারি পুলিশ সুপার (শৈলকুপা-হরিণাকুণ্ডু সার্কেল) আরিফুল ইসলামকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
পরীক্ষা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ ওসি করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, এটা ঠিক হয়নি, বিষয়টি আমি দেখবো।
এ বিষয়ে উপজেলায় কর্মরত মিডিয়াকর্মীরা ওসি আসাদুজ্জামানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় আসেন কথা হবে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান (পিপিএম) সোমবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন