লালমনিরহাটের আদিতমারীতে অবরুদ্ধ সেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অবশেষে মুক্ত করলেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেন ইউএনও। আজ শুক্রবার সকাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে বাঁশের বেড়া দিয়ে তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা হয়। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তা বন্ধ দেখতে পান তিনি। এর আগে পরিবার ও তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ১৯ জানুয়ারি আদিতমারী থানায় দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সম্পাদক সালেকুজ্জামান প্রামানিকসহ ১২জনের বিরুদ্ধে জিডি করেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ।
এ ঘটনায় অবরুদ্ধ আবুল কাসেমের বাড়ি যান আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। সেখানে উভয় পক্ষকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার চলাচলের জন্য সাত ফুট প্রস্থের একটি রাস্তা বের করে উভয়ের মাঝে সমঝোতা করে দেন ইউএনও।
ইউএনও বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা করে মুক্তিযোদ্ধার চলাচলের জন্য সাত ফুট প্রস্থের একটি রাস্তা বের করে দেয়া হয়েছে। এতে যা খরচ হবে তা দুর্গাপুর ইউপি বহন করবে। এ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে থানা পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাস্তাটি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের রাস্তায় চলাচল করবেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বলেও জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিনি/শফিক