নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত যুবলীগ কর্মী মো. হাসান (২৪) অবশেষে মারা গেছেন।
সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার নদার্ণ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত হাসান বেগমগঞ্জ শরীফপুর ইউনিয়নের উত্তর শরীফপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। ১১ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ে সোমবার বিকেলে মারা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীফপুর গ্রামের জয়নাল আমিনের এলাকায় সম্রাট ও সুমন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সুমন প্রকাশ খালাসি সুমনের লোকজন সম্রাটের অনুসারি হাসানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঘটনার দিন রাতেই তাকে ঢাকার নদার্ণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতের মামা এমাম হোসেন জানান, সন্ত্রাসী সুমন ও তার লোকজন হাসানের পুরো শরীরের কুপিয়ে ১৫-২০টি স্থানে জখম করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে তাকে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল। সোমবার ঢাকাতে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিচার ইনচার্জ (ওসি) হারুন উর রশিদ চৌধুরী জানান, ঘটনায় নিহত হাসানের মা ধনী বেগম বাদী হয়ে খালাসি সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, নিহত হাসানের বিরুদ্ধেও থানায় ৬টি মামলা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল