লালমানিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউপির বাদিয়ারচর গ্রামে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় সরকারি সহায়তা খুবই অপ্রতুল বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ।
টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮টি পরিবার পেয়েছে ২ হাজার করে টাকা ও ২০ কেজি করে চাল। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি পরিবারকে দেয়া হয়েছে ১৪ হাজার করে টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল। বাড়ি-ঘর মেরামত করতে কেউ কেউ চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন। অধিকাংশ পরিবারের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া আদিতমারী উপজেলা প্রশাসন বরাদ্দ দিয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কুদরত আলী বলেন, দুই হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল পেয়েছি। এই টাকায় বাঁশ-কাঠ কিনতে পারিনি। অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
ক্ষতিগ্রস্ত জরিনা বেগম বলেন, টর্নেডোয় চারটি ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ১৪ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি চাল পেয়েছি। এটা খুবই সামান্য। চড়া সুদে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঘর মেরামত করছি।
আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস বলেন, টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তরা যেন সরকারিভাবে আরো সাহায্য সহযোগিতা পান সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইউএনও মো. মনসুর উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য এটাই শেষ ত্রাণ নয়, এরপরেও সরকারের পক্ষ থেকে ঢেউটিন দিয়ে সহায়তা করা হবে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সাহায্য চেয়ে সরকারের কাছে আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল