বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ জন, আক্রান্ত ১২৩ জন। করোনা প্রতিরোধে সরকার সাধারণ ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এছাড়া প্রশাসন মানুষকে ঘরে থাকার জন্য কঠোর পদক্ষেপ ও হটলাইনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
এরই মাঝে সরকারি বিধি-নিষেধ না মেনে জেলায় প্রায় শতাধিক ইটভাটা মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে ইট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ভাটা এলাকার মানুষসহ শ্রমিকরা করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন। ইটভাটা মালিকগণ কোনো প্রকার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিয়েই, তাদের দিয়ে অবাধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শ্রমিকরা দলবেঁধে ইটভাটায় কাজ করে, ঝুপড়ি ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করে ও যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোয় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
জেলার ইটভাটাগুলোতে গিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালাতে দেখা গেছে। কেউ ইট তৈরি করছেন, কেউ ভাটায় কাঁচা ইট সাজাচ্ছেন, কেউ পোড়া ইট বের করছেন, আবার অনেকে কয়লা ভাঙ্গিয়ে ভাটার আগুনে দিচ্ছেন। এই শ্রমিকদের কারো মুখে নেই মাস্ক বা অন্য কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।টুবগী ব্রিকস এর ইট তৈরির সর্দার জিন্নত আলী বলেন, কোম্পানী ছুটি না দিলে আমরা কি করুম। সবকিছু বন্ধ হলেও, আমাদের ভাটা বন্ধ হয় না কেন?
লোড আনলোড শ্রমিক কুষ্টিয়ার আশেক মিয়া বলেন, প্রতিটি ভাটায় দেড়’শ থেকে ২’শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। এই শ্রমিকরাই কাজের ফাঁকে স্থানীয় হাট-বাজার ও লোকালয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এনিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে করোনার কারণে সরকারের বিধি-নিষেধ আরোপের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।
পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাশেদ বলেন, যেহেতু লেবার ফাংশন আমাদের না। তারপরেও আমি এই ব্যাপারে ই্টভাটা মালিক সমিতির নেতাদের নিরাপদ দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার ও শ্রমিকদের গাদাগাদি করে ঘরে না রাখার কথা বলেছি। সেই সাথে জেলা প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম