রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের জপুই পাড়া হতে যতীন ত্রিপুরা (৩৩) নামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক যুবককে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহায়তায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের জপুই এলাকাতে জুম চাষের সময় উঁচু পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে নিচে থাকা বাঁশের আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হন যতীন ত্রিপুরা। স্থানটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা সুবিধা খুবই অপ্রতুল। এই অবস্থায় আহত যতীন ত্রিপুরাকে নিকটতম জপুই বিওপিতে আনা হলে বিজিবি ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু আঘাতের মাত্রা বিবেচনা করে জীবন রক্ষার্থে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেয়া প্রয়োজন বলে বিজিবি কর্তৃক বিষয়টি খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নকে জানানো হয়। ফলে সেনা রিজিয়ন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ২৪ পদাতিক ডিভিশনকে (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) অবহিত করে।
বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নিয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান তাকে দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রামে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে, সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহুর ঘাঁটি’র একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে যতীন ত্রিপুরাকে প্রথমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোনাপতি চাকমা এবং গত বছরের ২৯শে এপ্রিল জতনি তঞ্চংগ্যা নামে দুই প্রসূতিকে এবং গত বছর ১২ মে দুর্গম পাহাড়ে ভাল্লুকের আক্রমনে ক্ষত-বিক্ষত হওয়া পণবিকাশ ত্রিপুরাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম নিয়ে এসে প্রাণ বাঁচায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়াও, অতি সম্প্রতি গত ২৫ মার্চ রঙ্গামাটির সাজেকের দুর্গম এলাকা লুংথিয়ান ত্রিপুরা পাড়ায় হামে আক্রান্ত মুমূর্ষু পাঁচ শিশুকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত