ময়মনসিংহের নান্দাইলে গবাদি পশুর ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’র প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে এ রোগের কোন ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
সম্প্রতি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত গবাদিপশু দেখা গেছে। উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের সুরাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের দুটি দুধের গাভিসহ এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আরও ৫০টির বেশি গবাদিপশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
সিংরইল কোনাডাঙ্গর গ্রামের কামাল উদ্দিনের একটি বিদেশি জাতের গাভি একটি বাছুর, পারভীন আক্তারের দুটি, শান্তা বেগমের তিনটি, আবদুস সালামের একটি, মোস্তাফার তিনটি, শহীদ মিয়ার দুটি ও মন্নাছ মিয়ার তিনটি গরু এলএসডিতে আক্রান্ত হয়েছে। নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের গবাদিপশুর মধ্যেও এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রাণি হাসপাতালে গিয়ে গবাদিপশুর এ রোগের কোন সটিক চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানা যায়, এটি এক ধরণের পক্স ভাইরাস বা এলএসডি ভাইরাস দ্বারা গবাদিপশু আক্রান্ত হয়। এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর দেখা দেয়। পরে খাবারের রুচি কমে যায়। মুখ দিয়ে ও নাক দিয়ে লালা ঝরতে শুরু করে। পা ফুলে যায়। সামনের দুই পায়ের মাঝ স্থানে পানি জমে যায়। চামড়ায় পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে গিয়ে সারা শরীর জুড়ে ক্ষতের সৃষ্ট হয়। ক্ষত স্থান থেকে পুঁজ ও রক্তপাত হয়। পিন্ডগুলো ফেটে টুকরা মাংস বের হয়ে পড়ে। এমনকি পাকস্থলী অথবা মুখের ভেতরে ক্ষতের কারণে গবাদিপশু পানি পানে অনীহা প্রকাশ করে এবং কমে যায় খাদ্য গ্রহণ।
আজ রবিবার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মলয়কান্তি মোদক জানান, গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের কোনো ভ্যাকসিন নেই। ব্যাথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লোকজনকে খামার ও গোয়ালঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ