করোনা ঝুঁঁকির মধ্যেই কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। সোমবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া ঢাকা থেকে মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্যেও যেতে দেখা গেছে।
কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটে পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের ব্যাপক ভিড় রয়েছে। লঞ্চ স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে বাড়তি চাপ রয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও গত ২৬ এপ্রিল থেকে আজও দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত কাঠালবাড়ি -শিমুলিয়া ঘাটে ব্যাপক ভিড় রয়েছে। পাশাপাশি কিছু সংখ্যক যানবাহন নিয়েও ফেরি পারাপার হয়েছে।
সরেজমিনে কাঠালবাড়ি ঘাটে দেখা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিযোগে পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শুরু হয়েছে পারাপারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাঠালবাড়ি ঘাট সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই ৪/৫ টি ফেরিতে সীমিত আকারে যানবাহন পার করা হচ্ছে। এদিকে ঢাকার গার্মেন্টসগুলো খোলার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্পভাবে ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসতে হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পীড বোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে করে ঢাকামুখী যাত্রীরা পার হচ্ছে। তবে যাত্রীদের সাথে প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী সেবাদানকারী যানবাহন ও পার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঠালবাড়ি ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বলেন, কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ঘাটে চলমান ১৭ টি ফেরির মধ্য ২ টি রোরো, ২ টি ডাম্ব, ২ টি কে ধরন ও ১ টি মধ্যম ফেরি মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হচ্ছে। সকাল থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। আজ ৭ টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল