টাঙ্গাইলের মধুপুরে শ্বশুর বাড়িতে জামাই আরশেদ আলীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ঘটনায় অবশেষে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা নিয়েছে পুলিশ। নিহত আরশেদ আলীর ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত বুধবার (২৪ জুন) রাতে নিহতের স্ত্রী রেহেনা পারভীন, দুলাভাই আব্বাস আলী, শ্বশুর আবুল হোসেন ও শ্যালক স্বপনসহ আরো অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে আসামি করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে শ্বসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়ায় হত্যা মামলা নেয়ার কথা স্বীকার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৮ মে সোমবার মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের থলবাড়ী গ্রামের শ্বশুর বাড়ীর সুপারি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আরশেদ আলী (৩২) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।
নিহত আরশেদ আলীর মা মাজেদা বেগম অশ্রুস্বজল কণ্ঠে জানান, স্ত্রী রেহেনা পারভীনের অসুস্থতার কথা বলে গত ১৭ মে আমার বাবাকে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে শ্বশুর বাড়ীর পশ্চিম পাশে সুপারির গাছে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে বারবার মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এ ঘটানায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবদ প্রকাশিত হওয়ায় সংবাদকর্মীদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান নিহতের পরিবার। সংবাদপত্রে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণেই অবশেষে ৩৬ দিনপর হত্য মামলা নিয়েছে পুলিশ। তিনি তার ছেলে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, এ ঘটনায় ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে আরশেদ আলীকে শ্বসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়ায় বুধবার (২৪ জুন) রাতে হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন