করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে জনসমাগম-সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যুবলীগ নেতা সহস্রাধিক লোক নিয়ে সমাবেশ করেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির মধ্যে পুলিশী পাহারায় জনসমাবেশ করায় সচেতনমহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের মদদপুষ্ট বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথিত মিথ্যা অভিযোগ তুলে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।
জেলার করোনা হটস্পট হিসেবে খ্যাত বেলকুচিতে পৌর সদরে সমাবেশ ও মানববন্ধনটি বেলকুচি থানার মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে পুলিশ পাহারায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। সচেতনমহল বলছেন, এমনিতে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী তার মধ্যে সমাবেশ করে উপজেলাকে করোনার ঝুঁকির মধ্যে ফেলায় দায় কে নেবে? –এমন প্রশ্ন সবমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় যুবলীগ সভাপতি সাজ্জাদ হক রেজা সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথিত মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনটি বেলকুচি পৌরসভার চালা বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের পাহারা দিতে দেখা যায়। মানববন্ধন শেষে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্যকালে যুবলীগ সভাপতি সাজ্জাদুল হক রেজা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হক জানান, করোনার মধ্যে যুবলীগের সব ধরনের মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ। বেলকুচি যুবলীগ আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা মানববন্ধন সমাবেশ করে সংগঠন বিরোধী কার্যক্রম করেছে। এজন্য যুবলীগের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি এ ধরনের সমাবেশ আয়োজন করায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে জেলার অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভায় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করাতেই আমরা খুবই মর্মাহত। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্র থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্তপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে সমাবেশ চলাকালীন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আর বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আগে বিষয়টি দেখি তারপর প্রয়োজন হলো ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন