লালমনিরহাটে সরকারি ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়ে টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ফার্মেসি তল্লাসী চালিয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের শহরের পুরানবাজার এলাকায় পাচার হওয়া ছয় প্রকারের সরকারি ওষুধ জব্দ করে। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া দম্পত্তির জবানবন্দির ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালায়। আটক সারাফাত আলী শহরের ওয়্যারলেস কলোনীর মৃত শমসের আলীর ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রির সিন্ডিকেট সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে এবং পুলিশ সে তথ্য মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করছে।
গ্রেফতার হওয়া টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত আলী পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করে জানিয়েছেন তিনি পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।
তিনি আরও জানান, পুরো সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিহ্নিত করে পুলিশ সবাইকে গ্রেফতার করবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
শহরের টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত আলী দীর্ঘদিন যাবৎ পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি করে আসছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তিনি শহরের সবগুলো ক্লিনিকেই এসব পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ সরবরাহের কাজ করে আসছেন। জেলায় সরকারি ওষুধ পাচার ও কালোবাজারে বিক্রির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত ওই সিন্ডিকেটের একজন সদস্য।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, সরকারি ওষুধ পাচার ও কালোবাজারে বিক্রি সিন্ডিকেটের সদস্য যেই হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। সে তথ্য মোতাবেক পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকালে লালমনিরহাট শহরের ড্রাইভারপাড়া রেলওেয়ের একটি ভাড়া বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সরকারি ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। এসময় ওই বাসার মালিক আব্দুর রাজ্জাক রেজা ও তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় হাসপাতালের ৩ জন স্টোর কিপারসহ ৬ জনকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত