গ্রাম থেকে গ্রামে এবং শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বেহাল। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বর্ষার এই সময়ে রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারপ হয়ে যায় যে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সমস্যা হচ্ছে।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের বাওনা থেকে চকচকা গ্রামে যাবার রাস্তাটির এই অবস্থা। আর আশেপাশের রিকাবী, চকচকাসহ চার গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
রাস্তাটি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যবহার করে। পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত আর গর্তে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে চলাচল করা যায় না। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় অটোরিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে যেতে আরেকজনকে লাগে পিছনে জায়গা জায়গায় ঠেলে দিতে। বিশেষ করে কোন রোগী অথবা গর্ভবর্তী মাকে নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, তাদের অবস্থার আরো অবনতি হয়ে পড়ে। ফলে বর্ষায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব গ্রামের মানুষকে।
আলীহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. হারুনুর রশিদ জানান, বাওনা থেকে চকচকা গ্রামের এই রাস্তাটি চার কিলোমিটার হবে। এবারই সবচেয়ে বেশী খারাপ অবস্থা হয়েছে। এটার কারণ পাওয়ারট্রিলারে করে ধান নিয়ে যাওয়া। বাওনা এখানে একটি বড় হাট। লোকজনের চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতবড় রাস্তা ইউনিয়ন পরিষদ করতে পারেনা। তবে আমরা এই রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও স্থানীয় এমপিকেও জানিয়েছি। এখনও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল