শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তের পাহাড়ী এলাকায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ (২৭) গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত দুই ধর্ষক খোকা মিয়া (২৬) ও রাসেল (২০)। রবিবার বিকেলে তাদের নিয়মিত মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল মামুনের কাছে তারা ওই জবানবন্দি দেয়। একই সময় ধর্ষিতা গৃহবধূর সাথে থাকা তার আত্মীয় মাসুদ মিয়ারও জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরে ওই দুই ধর্ষককে আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিক জানান, গ্রেফতার হওয়া ২ যুবক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তা রেকর্ডের আবেদনসহ তাদেরকে রবিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের সাথে থাকা তার এক আত্মীয় প্রত্যক্ষদর্শীকেও জবানবন্দি দিতে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে একই দিন দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত অপর ২ বখাটেকেও গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে জেলা শহরের মোবারকপুর মহল্লার ওই গৃহবধূ তার এক আত্মীয়কে নিয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকযোগে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যাওয়ার সময় সীমান্তবর্তী বাকাকুড়া গুচ্ছগ্রাম পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় কতিপয় বখাটের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়। খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ অভিযান চালায় এবং ধর্ষিতাকে উদ্ধারসহ খোকন ও রাসেল নামে ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় ৪ বখাটে যুবককে আসামী করে ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল