বগুড়ার নন্দীগ্রামে আজিজুল হক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে এনে জায়গা দখল করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতার আপন ছোট ভাই সেকেন্দার আলী ছুরিকাঘাতে আহত হয়।
সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কামুল্ল্যা গ্রামে সন্ত্রাসীদের মারপিট ও ছুরিকাঘাতে আহত সেকেন্দার আলীকে বিজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হকের ছেলে মঞ্জু আলম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মুক্তারিন সরকার এবং তার সহযোগী সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগে জানা গেছে, নন্দিগ্রামের সিংজানি গ্রামে ৬৫ শতক জমির মালিকানা নিয়ে সেকেন্দার আলীর সাথে বড় ভাই বুড়ইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আজিজুল হকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
সেকেন্দার দাবি করেন, জায়গাটি তার কেনা ও আর আজিজুল বলেন, এটি তাদের পৈতৃক। সোমবার দুপুরে আজিজুল হকের পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তারিন সরকার বগুড়া শহর থেকে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসে। তারা সেকেন্দার আলীকে মারপিট করে তার ৬৫ শতক জায়গা দখল ও সেখানে তিনটি ঘর তোলে।
এর পরেই নন্দীগ্রাম বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সেকেন্দার আলীর লোকজন মুক্তারিন সরকারকে মারপিট করে। সেকেন্দার আলীকে মারপিট ও হাতে ছুরিকাঘাত করে এবং তার মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। তাকে বিজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ দু’পক্ষকে থানায় ডেকে কাগজপত্র দাখিল করতে বলে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম বুড়ইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আলো জানান, জায়গা নিয়ে দুই ভাই সেকেন্দার ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার আজিজুল শহর থেকে ভাড়াটিয়ে সন্ত্রাসী এনে সেকেন্দারকে মারপিট ও জায়গা দখল করে সেখানে তিনটি ঘর তুলেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, জায়গা দখলের বিষয়টি শুনেছি। কেউ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির জানান, এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন