১৩ জুলাই, ২০২০ ১৫:২৫

খামারের পশু মেটাবে কোরবানীর চাহিদা, মূল্যপ্রাপ্তি নিয়ে চিন্তিত খামারিরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

খামারের পশু মেটাবে কোরবানীর চাহিদা, মূল্যপ্রাপ্তি নিয়ে চিন্তিত খামারিরা

মাত্র কয়েক দিন বাকি। তারপরই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এই ঈদে জবাই করা হয় পশু। এসময় বিশেষ করে গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়ার বেশ চাহিদা থাকে। করোনা পরিস্থিতির কারনে এবার ভিন্ন চিত্র হলে থেমে নেই গরু খামারিরা। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন খামারে প্রাকৃতিক ভাবে কোরবানীর পশু মোটাতাজা করনের কাজে ব্যস্ত রয়েছে খামরিরা। করোনার প্রভাবে সাধারণন মানুষ কোরবানীর পশুর পালনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বাস্তবে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত প্রায় লক্ষাধিক গবাধি পশু। 

ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার খামারী দিন রাত প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করনে কাজ করছে। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সবধরণের কোরবানির পশু রয়েছে। খামারে থাকা পশু দিয়েই মিটবে জেলার ৯৫ ভাগ চাহিদা এমনটা মনে করছেন অনেকে। তবে চলতি পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে খামারিদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। 

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, খামারিদের লাভের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে কেনাবেচার পাশাপাশি কম খরচে পশু মোটা তাজা করণের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। 
খামার মালিক হোসাইন মিয়া ও তসলিম উদ্দিন বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে অনেক খামারের আকার ছোট করা হয়েছে। তাছাড়া পশুখাদ্যের দাম বিগত বছর থেকে এবার বেড়েছে। এতে করে খামারের খরচ বেড়েছে। আমরা লাভের আশায় দিন-রাত কাজ করলেও গত ২/৩ বছর তুলনায় এবা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা করছি। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু না এলে আমাদের কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছি। 

শহরের পৈরতলার খামারী মোঃ জামাল মিয়া বলেন, আমার খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। যুবরাজ নামে একটি গরুর দাম হাকাচ্ছেন ৭ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছোলা, বুট, ডাল হ ভাল ভাল খাবার খাইয়ে পালন করেছি এখন সঠিক দাম পাব কি না তা নিয়ে চিন্তিত। তিনি ক্রেতারা যুবরাজের যে দাম হাকাচ্ছে তাতে আমার লাকসান হবে। 

প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান বলেন, জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারীদের ব্যয় কমানোর জন্য জেলার ৯ টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে ৫০ জন করে ৪৫০ জন খামারিকে কম খরচে গবাদি পশু মোটাতাজা করণনের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কোরবানির পশু বিপননের জন্য এসব প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত খামারিদের নিয়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে অনলাইলে গবাধি পশু কেনা বেচা হবে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর