সিরাজগঞ্জের তাড়াশের রিশান গ্রুপের আলোচিত চেয়ারম্যান প্রতারক চক্রের মূল হোতা ডিজে শাকিল গ্রেফতার হবার পর তার নানা অপকর্মের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
মূলত দালালদের মাধ্যমেই টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল তার প্রধান কাজ। চাকরি দেয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ডিজে শাকিল তাড়াশে বিলাসবহুল অফিস, বাড়ি ও গাড়ি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিজে শাকিল তার অপকর্মকে সফল করার জন্য গড়ে তোলে দেশব্যাপী বিশাল দালাল চক্র। আর এই চক্রটি ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের লোভ দেখিয়ে লোকজনকে নিয়ে আসত তার অফিসে। তার অফিসে গেলেই ভাল ভাল খাওয়াতেন। ভাল আচরণ করতেন।
তার এই দালাল চক্র তাড়াশ, পাবনা, উল্লাপাড়া, সুজানগর আশপাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে লোকজন নিয়ে আসতেন। পরে তাদের চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন শাকিল। ব্যাংকে চাকরি, ডিসি অফিসে অফিস সহকারী পদে, স্বাস্থ্য বিভাগের ৩য় শ্রেণির জনবল নিয়োগের প্রেক্ষিতে ক্যাশিয়ার, মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় পদসহ বিভিন্ন পদের লোভ দেখিয়ে শাকিল টাকা হাতিয়ে নিতেন।
আর বেকার যুবকরা চাকরি পাওয়ার আশায় নিজের সর্বস্ব বিক্রি ও ধার করে টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত হতেন। ডিজে শাকিল টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিতেন। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে গেলে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।
পরে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তেন সাধারণ যুবকরা। আর হাতিয়ে নেওয়া টাকা দিয়ে শাকিল তাড়াশে বিলাসবহুল বাড়ি ও গাড়ি কিনেছেন। পুলিশ সদস্যরা সেই সব তথ্য খুঁজতে মাঠে নেমেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন জানান, প্রতারক চক্রের ডিজে শাকিলসহ তার দুই সহযোগী হুমায়ুন কবির ও হারুনুর রশিদ সাইফুলকে ৫ দিন করে রিমান্ড নেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা কিভাবে প্রতারণা করতো, কত টাকার লেনদেন করেছে কারা কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মামলার সাথে রিলেটেড সব কিছুরই প্রয়োজন অনুসারে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর