পটুয়াখালীর বাউফলে এক সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদান করে মারধরের মামলায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ভোরে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের পর পটুয়াখালীতে নেয়া হয়েছে। কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও আছেন চেয়ারম্যান শাহিন। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মহিববুল্লাহ।
বাউফলের বগা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসি মো. মহিববুল্লাহ জানান, পটুয়াখালী পুলিশের একটি দল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মো. শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। আনছার উদ্দিন নামের এক কৃষি কর্মকতার্কে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান শাহিনকে একমাত্র আসামি করে সরকারি কাজে বাধাদান, মারপিট ও খুন, জখম ও জীবননাশের হুমকির ঘটনায় বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন বাউফল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনছার উদ্দিন মোল্লা। মামলা নম্বর ২৬/২৪৬। তারিখ ২৯.১০.২০ইং।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিকাল অনুমান ৫টার দিকে সরকারি কাজের উদ্দেশে কনকদিয়া বাজারের বাণী ফার্মেসির সামনে থেকে যাওয়ার সময় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন আনছার উদ্দিনকে ডাক দেন। ওই কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে সালাম দিতেই পূর্ব বিরোধের জেরে সে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি এর প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান আনছারকে প্রকাশ্যে লাথি-কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।
আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, ঘটনার পরে আমার ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশে বাউফল থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা