বন জঙ্গলের ঝুঁপড়ি ঘরে বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দেওয়া দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউপির সনকা সাঁওতাল পল্লীর মধু হাসদা (৮০) জীবনের শেষ বেলায় এসে সরকারী ভাবে পাকা ঘর পাচ্ছেন। এমন খবরে জানতে পেরে তিনি ছুটে যান নির্মানাধীন ঘর দেখতে। সেখানে গিয়ে ঘরের দেওয়াল জড়িয়ে ধরে হাত দিয়ে দেওয়ালের ইটগুলি স্পর্শ করে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এসময় তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, সাহেব, সারা জীবন কাটলো জঙ্গলের ঝুপরি ঘরে। জীবনের শেষ বেলায় পাকা ঘরে থাকবো এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।
এই সাঁওতাল পল্লীতে ১১টি পরিবারের জন্য লাল টিনের সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ডালিম সরকার জানান, বীরগঞ্জ উপজেলার ১৬টি স্থানে মোট ১১.৫০ একর সরকারি খাস জমিতে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। প্রতি ঘরে ২টি কক্ষ, ১টি বাথরুম, ১টি রান্নাঘর, বারান্দাসহ প্রতি উপকারভোগী গড়ে ২.০ থেকে ৩.০০ শতাংশ বন্দোবস্তসহ ইতিমধ্যে উপকারভোগী নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
বীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের জানান, এ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহীন পরিবারের সংখ্যা ২০৪৭টি। বর্তমানে ৩৫০টি পরিবারকে এ প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসন করা হচ্ছে এবং পর্যাক্রমে সকল গৃহহীনকে মুজিব বর্ষের মধ্যেই পুনর্বাসিত করা হবে। এ প্রকল্পে ঘর প্রতি নির্মাণ মূল্য ১,৭১,০০০/-টাকা। এ উপজেলায় মোট বরাদ্দ ৫,৯৮,৫০,০০০/- টাকা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল