চলতি আমন মৌসুমে সরকারি গোডাউনে ধান চাল সরবরাহ করতে প্রায় ৬ হাজার মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়নি। ৭ হাজার মিলারের মধ্যে ১২০০ জনের মতো মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। অপরদিকে বোরো মৌসুমে সরকারি গোডাউনে ধান-চাল সরবরাহে ব্যর্থ মিলারদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দু'মাস আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল বোরো মৌসুমে চুক্তিবদ্ধ যেসব মিলার চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ধান-চাল সরবরাহ করতে পারেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় মিলারদের তালিকা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলছেন, জেলা থেকে তালিকা এখনো আসেনি। তাই চুক্তিভঙ্গকারী মিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।
রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন চাল ৫২ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার পর্যন্ত এই বিভাগে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। এর আগে এই বিভাগে ৭ হাজারে ওপর মিলার ধান-চাল সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হলেও এবার মাত্র ১ হাজার ২০০ জন চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ফলে ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
অপরিদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খাদ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে বোরো মৌসুমে যে সব মিলার শর্ত অনুযায়ী ধান চাল সরবরাহ করতে পারেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে। কিন্তু নির্দেশনার বাস্তবায়ন রংপুরে এখন পর্যন্ত হয়নি। বাজার মূল্যের চেয়ে সরকারি সংগ্রহ মূল্য কম থাকায় সংগ্রহ অভিযান সফল হয়নি বলে খাদ্য বিভাগ মনে করছেন।
রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুছ ছালাম বলেন, অনেক মিলারই আমাদের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে। আরও মিলার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো মৌসুমে ব্যর্থ মিলারদের কালো তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা পর্যায় থেকে তালিকা দেয়ার কথা। কিন্তু জেলা থেকে এখন পর্যন্ত আঞ্চলিক অফিসে কোন তালিকা পাঠানো হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা