বছরের প্রথম দিন শুক্রবার দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হয়েছে। এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে অন্য বছরের মতো বই উৎসব ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষেই এ বই বিতরণ কার্যক্রম হয়। তবে এখন পর্যন্ত নতুন বই পাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত বগুড়ার ধুনট উপজেলার ৩৭টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, এ উপজেলায় ৩৭টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। প্রতিবারই বছরের প্রথম দিন নতুন পাঠ্যপুস্তক পেয়েছে এসব শিক্ষার্থীরা। বছরের নতুন বই পেয়ে তারা উচ্ছ্সিত হয়েছে। কিন্তু এবার নতুন বই পাওয়া থেকে এসব শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। ফলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মনে আনন্দ উৎসব নেই।
পাঠ্যবই বঞ্চিত এসব বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, করোনাকালে সরকারের নির্দেশনা মেনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে বই তুলে দেওয়া হলেও স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন বই থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে নতুন বইয়ের গন্ধ পাওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের। করোনার কারণে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। নিরাপত্তাজনিত কারণে আমরা প্রায় সবাই অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। নানা রকম উদ্বেগের মধ্যে একটি হলো সন্তানদের পড়াশোনা।
বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বেগটা একটু বেশি। দীর্ঘদিন গৃহে অবস্থান করায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি পেয়ে বসেছে। কেননা এ বয়সী শিক্ষার্থীরা সাধারণত শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও সহযোগিতায় পড়াশোনা করে থাকে। এবছর একদিকে শিক্ষকদের নির্দেশনা পাচ্ছে না, অপরদিকে নতুন পাঠ্যপুস্তক থেকেও বঞ্চিত। এ কারণে শিশুরা লেখাপড়ায় উৎসাহ হারাচ্ছে।
উপজেলার কয়েকটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক জানান, বছরের শুরুতে নতুন পাঠ্যপুস্তক পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চাহিদাপত্র জমা দিয়েছি। এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও নতুন পাঠ্যপুস্তক মিলছে না। এ কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এবার চাহিদা অনুযায়ী নতুন পাঠ্যবই পাওয়া যায়নি। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা নতুন পাঠ্যবই পায়নি দ্রুত তাদের মধ্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন