ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে চলে গেছে নিতাই নদ। ভারতের মেঘালয় থেকে আসা উপজেলার ঘোষঁগাও বাজারের পূর্ব উত্তর দিয়ে বয়ে চলা প্রমত্তা এই নদের কালিকাবাড়ি ঘাটে পাঁকা সেতুর অভাবে দীর্ঘযুগ ধরে দুভোর্গ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। তারা শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ও বর্ষায় নৌকা দিয়ে চলাচল করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতু না থাকায় তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও এই দুই ইউনিয়নের কড়ই গড়া, কালিকাবাড়ি, রাম সিংহপুর, কাশিপুর, বাগপাড়া, ঘিলাগড়া, ছোট মুন্সিপাড়া,রানীপুর, নয়াপাড়া, ঘোষঁগাও, ভালুকাপাড়া সহ ২৭ টি গ্রামের মধ্যে প্রায় ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করেন। সাঁকোর আশপাশে রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২ টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩ টি কলেজ ও ৩ টি মাদাসার প্রায় ১ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে মোটরসাইকেল, ঠেলা গাড়ি, রিক্সা খুব ঝুঁকি নিয়ে নদ পার হয়। এলাকার উৎপাদিত ফসলও বাজারজাত হয় অনেক কম দামে। বাজারে পণ্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিগুণ খরচ করতে হয় ব্যবসায়ীদের। আগে এই সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে টাকা দিতে হতো। বর্তমান তা বন্ধ থাকলেও সেতু না হওয়ায় ভোগান্তি কমছে না সাধারণ মানুষের।
দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে কালিকাবাড়ীর বাজারের ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকায় এমন গুরুত্বপূর্ণ সাঁকো আর একটিও নেই। এখানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। আমরা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে সেতু নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
সাঁকো ব্যবহারকারী ভালুকাপাড়া এলাকার বয়োবৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আর বলে কি হবে। আমরা এখন হতাশ। দাবি আর কার কাছে জানাবো। আমাদের ছেলে মেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুল ও মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করে। আমাদের পণ্য আনতে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হয়। সাঁকো দিয়ে পার হলে মনে হয় এই বুঝি নদীতে পরে গেলাম। আমরা এখানে সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সেতু নির্মাণের বিষয়ে ধোবাউড়া এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুর ফেরদৌস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কালিকাবাড়ী ঘাটে ১২০ মিটার সেতু তৈরিতে একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। এটি খুবই বড় প্রজেক্ট। সেটি একনেকে পাশ হলেই পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কাজ হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল