রংপুর অঞ্চলে অনাবাদি জমিগুলো চাষযোগ্য করে আবাদ করলে প্রতিবছর সাড়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন বাড়তি খাদ্যশস্য উৎপাদন করা সম্ভব। এই অঞ্চলের ৫ জেলায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমি রয়েছে অনাবাদি ও অকৃষি। এসব জমিতে কোন ফসল হয় না বলে অনাদর-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এসব অফসলি ও অনাবাদি জমির অধিকাংশই নদী এলাকায়। এর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নদীতে জেগে ওঠা চর এবং নিচু এলাকা। বাকি জমি সরকারি খাস অথবা অবৈধ দখলদারদের নিকট পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে চরাঞ্চলের জমিকে চাষ যোগ্য করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমি রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি জমি ৭ লাখ ৩৫ হাজার ২০৬ হেক্টর, অকৃষি ২ লাখ ১৩ হাজার ২ হেক্টর এবং সাময়িক পতিত জমি রয়েছে ১০ হাজার ৫৫ হেক্টর। অনাবাদি এসব জমি থেকে প্রতি হেক্টরে গড়ে ৬ মেট্রিক টন করে ফসল উৎপাদন হলে এক বছরে অতিরিক্ত আরো ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪২ মেট্রিন টন খাদ্য শস্য উৎপাদন করা সম্ভব। যা এ অঞ্চলের দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে এসব জমিতে কোন প্রকার আবাদ হচ্ছে না।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ মেছবাহুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিগুলোকে চাষযোগ্য করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চরে দানাদার ফসল ধান, গম, ভুট্টা, রবি সবজি, পাট উৎপাদন করা সম্ভব। এসব জমি চাষযোগ্য করতে পারলে প্রতিবছর লাখ লাখ মেট্রিক টন বাড়তি ফসল উৎপাদন সম্ভব। তিনি আরো বলেন চরাঞ্চল বাদে যেসব জমি পতিত অবস্থায় রয়েছে এসব জমি চাষযোগ্য করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন