সারাদেশেই কৃষকদের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও চাষের জমি সংকট থাকায় ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের গমের প্রজনন বীজ চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর। কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী গম বীজ সরবরাহ করা গেলে ২/১ বছরেই দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ গম উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউট(বিডাব্লিউএমআরআই) নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে প্রজনন বীজের জাত সম্প্রসারণের সবধরনের চেষ্টা করলেও চাষের জমি সংকট থাকায় কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রজনন বীজ উৎপাদন করতে পারছে না।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউট দিনাজপুরের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন জানান, সারাদেশে এবার বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউট গমের ফলন ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধমে ২৩০৫ জন কৃষকের জমিতে প্রদর্শনী খামার করা হচ্ছে। এতে ৪৩ টন বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও গম উৎপাদনের জন্যে বিএডিসিকে এবার ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন তিনটি জাতের ২৩ টনসহ মোট ৬০ টন প্রজনন বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। পূর্বের জাত ছাড়াও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল উদ্ভাবিত নতুন জাতের বারি গম-৩৩, ডাব্লিউএমআরআই-২ ও ৩ সারাদেশে গম উৎপাদন বৃদ্ধিতে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। দেশে উদ্ভাবিত গমের নতুন জাতের গড় ফলন হবে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন। যা দেশের গম উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্ভাবিত জাতগুলো ব্যাপক অবদান রাখবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার