শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে আমন মৌসুমে সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ ধান ও চাল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়।
কিন্ত উপজেলায় যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মিল মালিকরা অর্ধেকেরও কম চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এতে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট মিল মালিকরা চুক্তিতে আসছেন না। এ ছাড়া বাজারে দাম বেশি থাকায় তারা সরকারকে ধান-চাল দিতে আগ্রহী নয়। সরকার চালের দাম কেজি প্রতি ৩৭ টাকা এবং ধানের দাম ২৬ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া চাল ১৪৬৭ মেট্রিক টন ও ধান ৮০৩ মেট্রিকটন ক্রয়ের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
উপজেলায় একটি অটোরাইস মিল ও চাতাল মিলসহ ৮৩টি মিলের মধ্যে মাত্র ১৭টি মিল ৪৩২ মেট্রিকটন চাল দেওয়ার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সরকারি বরাদ্দ থেকে ১০৩৫ মেট্রিকটন চাল কম সংগ্রহ হবে। আর বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এক কেজি ধানের দাম প্রায় ৩০ টাকা। এতে সরকারি লক্ষ্য অনুযায়ী চাল ও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খাদ্য কর্মকর্তারা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রয় অভিযান চলবে।
নালিতাবাড়ী মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো.আবুদুস সামাদ বলেন, বাজারে ধানের যে দাম আছে তাতে গুদামে দিতে গেলে মিলারদের অনেক লোকসান হয়। তাই সরকার যদি প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন তাহলে মিলাররা আগ্রহী হবেন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে এম নাছির উদ্দিন বলেন, বর্তমান বাজারে ধানের যে দাম তাতে মিল মালিক ও কৃষকদের গুদামে ধান-চাল দিতে অনীহা। তারা বাজারে এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারছেন।
ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ক্রয় কমিটির সভাপতি মো. মাহফুজুল আলম মাসুম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক, মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুদুস সামাদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই