১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৩১

'ছিটমহলবাসীর জীবন-জীবিকা বদলে যেতে শুরু করেছে'

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

'ছিটমহলবাসীর জীবন-জীবিকা বদলে যেতে শুরু করেছে'

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ ৪৯ বছর ছিটমহলের অধিবাসীরা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত ছিল। ছিটমহলবাসীর নাগরিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে বিলিপ্ত ছিটমহলের অবকাঠামোসমূহ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি একটি প্রকল্প প্রনয়ন করে, যা ৫ জানুয়ারি ২০১৬ এ একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ছিটমহল জেলাগুলো হচ্ছে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী।

বৃহস্পতিবার বিকালে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম আঙ্গরপোতা দহগ্রাম ও বাঁশকাটা ছিটমহলের এলজিইডি'র বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের অভ্যন্তরে এবং ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে যায়। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত এবং ভারতের অন্তর্গত বাংলাদেশের ছিটমহলগুলো ভারতীয় সীমানাভুক্ত হয়। 

ছিটমহল অধিবাসীর জন্য সড়ক, ব্রিজ/কালভার্ট ও সামাজিক অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ২৫৮.১৭ কিলোমিটার সড়ক, ৬৩৯.১৩ মিটার ব্রিজ/কালর্ভাট, ৬টি কমিউনিটি সেন্টার, ২৪টি মসজিদ, ৯টি মন্দির, ৫টি গ্রোথ সেন্টার/গ্রামীণ হাটবাজার, ৪টি শ্মশান ঘাট, ৪টি কবরস্থান,  ৬টি ঘাট নির্মাণ এবং ৩.০৫ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন করা হচ্ছে। এসকল অবকাঠামোর মধ্যে ২১১.৮০ কিলোমিটার সড়ক ৬৩৯.১৩ মিটার ব্রূিজ/ কালভার্ট নির্মাণ, ৬টি কমিউনিটি সেন্টার, ৫টি মন্দির, ২০টি মসজিদ নির্মাণ, ২টি গ্রোথ সেন্টার/গ্রামীণ হাটবাজার, ৪টি শ্মশান ঘাট, ৪টি কবরস্থান, ৬টি ঘাট নির্মাণ, ৩.০৫ কিলোমিটার খাল খনন/পুঃনখনন ইত্যাদির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এসব নির্মাণ হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর জীবন-জীবিকা বদলে যেতে শুরু করেছে।সুবিধাবঞ্চিত ছিটমহলবাসী অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন, ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা- বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর