চাঁদপুর শহরের ছায়াবানী এলাকায় ময়লা আবর্জনা কুড়িয়ে বিক্রি করে সংসার চালায় 'কুলসুম' একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর সেই শিশু ও তার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস।
গতকাল বুধবার (২০ জানুয়ারী) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ওই শিশুর পরিবারকে ডেকে আনা হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক নিজে ওই শিশুর অসুস্থ পিতা-মাতার চিকিৎসার দায়িত্ব দিলেন সিভিল সার্জন ডা: মো: সাখাওয়াত উল্যাহকে এবং পড়ালেখার দায়িত্ব দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাহাব উদ্দিনকে।
এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দুই বান্ডেল ঢেউটিন ও ঘর তৈরির জন্য নগদ ৬ হাজার টাকা দেয়া হয়। ডিসি বলেন, আমি চাই কুলসুম যেন আর এই ধরণের কাজ না করে। আমি চাই আপনাদের সন্তানরা এ ধরণের কাজ না করে পড়ালেখা করুক। কারণ ১০ বছরের মেয়েটি এই কাজ করলে স্বাভাবিকভাবে আমাদের কষ্ট লাগে।এসময় কুলসুমের পিতা শহীদ ঢালী বলেন, আমরা সুস্থ হওয়ার পর যেন ছোট কোনও ব্যবসা করতে পারি তার সুব্যবস্থা করবেন। তখন ডিসি তাদেরকে ব্যবসা করার স্থান নির্ধারণ করে দেয়ারও আশ্বাস দেন। এছাড়াও তাদের সংসার খরচের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অসিম চন্দ্র বণিক, সিভিল সার্জন ডা: মো: সাখাওয়াত উল্যাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সাহাব উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল ইসলাম ও ইমরান মাহমুদ ডালিম।
উল্লেখ্য, গত ১৪জানুয়ারী 'মোশন ফ্রি' নামে একটি ফেসবুক পেজে এক ব্যক্তি কুলসুমের জীবন জীবিকা নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিও পোস্টটি ভাইরাল হলে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ
