২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৪০

সেই শিশুর ব্যাপারে অনেকের সাড়া মিললেও, মেলেনি পরিবারের

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

সেই শিশুর ব্যাপারে অনেকের সাড়া মিললেও, মেলেনি পরিবারের

গত বছর বাবা মায়ের মৃত্যুর পর এতিম হয়ে যায় নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শিশু রফিকুল। বছর খানেক ভাই-ভাবির বাসায় থাকলেও সহ্য করতে হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শনিবার বিকেলে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর কথা বলে ট্রেনে তুলে দেন তার আপন ভাই ও ভাবি। কিন্তু তারা ট্রেনে না উঠে বলে দেয় তোর কপালে যেখানে আছে চলে যা, বেঁচে থাকলে হয়তো দেখা হবে। এরপর রাজবাড়ীর বহরপুর রেলস্টেশনে রাতে কান্না করতে করতে নিচে নামে শিশুটি। পরে স্থানীয় সোনার বাংলা সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক হেলাল খন্দকার শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে এসে প্রশাসনকে অবহিত করেন। 

বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন ভার্সস সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এতিম রফিকুলের ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা শিশুটির সাথে কথা বলে নওগাঁ জেলার রাণিনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বললেও সেই ভাই-ভাবির পক্ষ থেকে কোন সাড়া মেলেনি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানসহ প্রবাস থেকে শিশুটির দায়িত্ব নিতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আজ সোমাবার দুপুরে আমেরিকা থেকে এক প্রবাসী বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাজবাড়ী প্রতিনিধিকে বলেন, তিনি শিশুটির দায়িত্ব নিতে চান। তিনি দেশের বাইরে থাকলেও ঢাকার ভালো কোন এতিমখানায় রেখে শিশুটিকে বড় করবেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো বেশ কয়েকটি ফোন পান বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই সংবাদকর্মী। এছাড়া ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনও শিশুটির দায়িত্ব নিতে চান।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, রবিবার সকালে শিশুটির ভাই এবং ভাবির সন্ধান পেয়ে শিশুটির ব্যাপারে অবহিত করা হয়। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে আজ রাতে একজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বালিয়াকান্দি আসবেন বলে জানিয়েছেন রাণিনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

সোনার বাংলা ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক হেলাল খন্দকার বলেন, শিশুটি দুই রাত তার বাড়িতে অবস্থান করছে। অনেক দিনের নির্যাতন ভুলে বর্তমানে শিশুটি তার পরিবারের সাথে রয়েছে। শিশুটি ভালো আছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে দ্রুতই তারা শিশুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
 
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, সর্বপ্রথম শিশুটিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে সরকারি কোন শিশু পরিবারে শিশুটি রাখা হবে। এছাড়া যদি কেউ শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় তবে আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়া যেতে পারে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর