লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। শীত মৌসুম বিদায়ের আগে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং কনকনে হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। শিশু ও বৃদ্ধরা এই শীতে ঘর থেকে বেড়াতে পাড়ছেনা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে লালমনিরহাটে দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার(৩১ জানুয়ারী) সকাল ১০টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রর ইনচার্জ সুভল কুমার রায় জানান, রবিবার সকাল ১০টায় লালমনিরহাটে দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের ওই কর্মকর্তা জানান, গত ২০ বছরের মধ্যে লালমনিরহাটের এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে এ আবহাওয়া ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত থাকবে বলেও জানা গেছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া বিশেষ করে তিস্তা-ধরলাপাড়ের ৬৩ চরের মানুষগুলো।
বিত্তবানরা গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও নিম্ন আয়ের লোকজনের তা হাতের নাগালের বাইরে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শীতে বোরো বীজতলা, ভুট্টা, আলু, সবজিক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
তিস্তাপাড়ে আব্দুল মালেক বলেন, গত ৫দিন থেকে প্রচুর শীত আর কণকণে ঠান্ডা। তার জীবনে এমন শীত তিনি দেখেননি এমন দাবি তার। অন্য এলাকার চেয়ে তিস্তার পাড়ে প্রচুর শীত।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল