টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন হবে না। সরকারের এমন সব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা দেশ ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে। তিনি বলেন, আগামীর রাজনীতি ও গণতন্ত্র উত্তরণের পথ যাতে মসৃণ রাখা যায়, সতর্কতার সঙ্গে সেই পথেই হাঁটছে বিএনপি।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন। তিনি একটি বড় মোবাইল ফোন কোম্পানিকে সুযোগ করে দিতে এ টেলিকম নীতিমালা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তড়িঘড়ি প্রণীত এ নীতির বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি। দল এখন এ নীতি প্রণয়নের পক্ষে নয় বলেও জানান দলের মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে এ খসড়ার সম্ভাব্য দুর্বলতা, অস্পষ্টতা এবং বড় মোবাইল ফোন অপারেটরদের পক্ষে অধিক সুবিধা পাওয়ার কিছু ধারা তুলে ধরছে, যা ছোট ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান (এসএমই) এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ টেলিকম নীতিমালার উদ্দেশ্য হলো, লাইসেন্সিং পদ্ধতি সহজ করা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উৎসাহিত করা এবং গ্রামীণ জনগণের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো; যা অবশ্যই ইতিবাচক একটি বিষয়। তবে খসড়া নীতিমালাটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এতে কিছু গুরুতর সমস্যা রয়েছে; যা টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নে বাধা দিতে পারে।