দুই বছর পর আবারও জাতীয় হকি দলের অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়ে রোমাঞ্চিত রেজাউল করিম বাবু। সামনে এশিয়া কাপ হকির কঠিন চ্যালেঞ্জ, গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া ও রানার্সআপ মালয়েশিয়ার সঙ্গে। তবু আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক। ভালো খেললে লক্ষ্য বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জায়গা করে নেওয়া।
ভারতের বিহারে ২৯ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ হকির এবারের আসর। আট দলের এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি কোয়ালিফাই করবে ২০২৬ সালে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য হকি বিশ্বকাপে। এছাড়া সেরা পাঁচে থাকা দলগুলোও পাবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ।
এবারের আসরে পাকিস্তান ও ওমান নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশ ও কাজাখস্তানের। হঠাৎ পাওয়া এই সুযোগকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে চান রেজাউল করিম। বুধবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির ফাঁকে তিনি বলেন, “আমাদের দলটা সিনিয়র-জুনিয়র মিলে গড়া। সিনিয়রদের অভিজ্ঞতা আছে, জুনিয়ররা ফিজিক্যালি অনেক ফিট। যদি আমরা সঠিক গাইডলাইন দিই, কোচের পরিকল্পনা মেনে খেলতে পারি, তাহলে ভালো কিছু হবে।”
দলের প্রতি আস্থা রেখে রেজাউল বলেন, “যেহেতু আগে আমরা এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাইনি, তাই হারানোর কিছু নেই। বরং প্রমাণ করার অনেক কিছু আছে।”
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাতীয় দলের ১৮ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন প্রধান কোচ সিগফ্রেড গোত্তালিয়েব আইকম্যান। সেখানে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ কৌশিক ও নাঈমদের। তবে অধিনায়ক রেজাউল বলছেন, “অভিজ্ঞরা ফিজিক্যালি পুরো ফিট থাকলে তারাই হতো সেরা। কিন্তু ১০-১২ দিনের মধ্যে কেউ পুরো ফিট হতে পারে না। অনূর্ধ্ব-২১ দলের অনেক খেলোয়াড় দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনিংয়ে আছে, তারা ফিজিক্যালি ফিট এবং প্রতিযোগিতা করে জায়গা করে নিয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/মুসা