চীনা শাসন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিরল সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, বুধবার তিব্বতের আঞ্চলিক রাজধানী লাসায় পৌঁছান তিনি। সেখানে প্রায় ২০ হাজার কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দা তাঁকে স্বাগত জানান।
লাসায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শি তিব্বতকে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তিব্বতকে ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ, সভ্য, সুরেলা ও সুন্দর রূপে এগিয়ে নিতে হবে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শি জিনপিং তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মকে সমাজতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
চীন দাবি করে তিব্বত বহু শতাব্দী ধরে তাদের ভূখণ্ডের অংশ। তবে বহু তিব্বতি মনে করেন, তারা দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের বৌদ্ধ ধর্মতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে স্বাধীন ছিল। ১৯৫১ সালে কমিউনিস্ট বাহিনী তিব্বত নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং ১৯৬৫ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল’।
এরপর থেকে রাজনৈতিক নানা টানাপড়েন চলছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে তিব্বতে ব্যাপক হারে হান চীনা জনগোষ্ঠীর বসতি গড়ে উঠেছে। অঞ্চলটি বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যটকদের জন্যও কার্যত বন্ধ।
এদিকে, ১৯৫৯ সালে চীনা নিয়ন্ত্রণের পর তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা ভারতে আশ্রয় নেন এবং এখন তিনি ৯০ বছরে পা দিয়েছেন। তার পুনর্জন্ম নিয়েও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
শি জিনপিংয়ের এই সফরটি এমন এক সময়ে হলো যখন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতের সফরে গিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের অঙ্গীকার করেছেন। ২০২০ সালে সীমান্ত সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল