চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ মামলায় বরখাস্ত এসপি মো. আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন চৌধুরী গতকাল তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই দিন সকালে নোয়াখালী কারাগার থেকে আসাদুজ্জামানকে শিবগঞ্জ আমলি আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল আহম্মেদ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসাদুজ্জামান সবশেষে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওদুদ বলেন, পুলিশ অফিসার ও পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মিলে ষড়যন্ত্র করে শিবগঞ্জের একটি বাড়িতে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করেন। নাটক সাজিয়ে আবুল কালাম আবুকে হত্যা করে। হেলিকপ্টারে আরও তিনটি লাশ ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের পেটে বোমা বেঁধে রেখে রিমোটকন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায়। নৃশংস এ ঘটনার সাত বছর পর ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, অপারেশন ঈগল হান্টে হওয়া মামলায় কোনোভাবেই সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান জড়িত নন। তাকে অহেতুক এ মামলায় জড়ানো হচ্ছে।