পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা থেকে শেষ হচ্ছে। ভোট গ্রহণের সময় যত ঘনিয়ে আসছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। মিরকাদিম পৌরসভার অলিগলির সকল সড়কেই প্রচারণায় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারে।
শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। তবে পৌর মেয়র ও একাধিক ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মাইকিং ছাড়াও চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে নির্বাচনী প্রচারণা। চায়ের স্টলগুলোতে চলছে আড্ডা। করোনা আতঙ্ক ছাড়াও শীতকে পেছনে ফেলে প্রচারণায় পিছিয়ে নেই প্রার্থীরা। তবে এবারের নির্বাচনে বিক্ষিপ্তভাবে প্রচারণায় বাধা-হামলা মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে একাধিক স্থানে।
এই হামলার অভিযোগ করেছে সাবেক পৌর মেয়র এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন রেনু। এছাড়াও ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যেও প্রচার-প্রচারণায় বাধা পাল্টা বাধা দেওয়ার অভিযোগ তো রয়েছেই। এবার মিরকাদিম পৌর নির্বাচনে স্থানী নেতাকর্মী ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ জেলা ও শহরে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহাতাব উদ্দিন কল্লোলও নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করেছেন।
এদিকে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরের দিন ১০ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার তার শুনানি হয়। ফলে ১৪ ফেব্রুয়ারি এই পৌরসভার নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুস সালাম (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (ধানের শিষ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হোসেন রেনু। তবে বর্তমান মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম শাহীন নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এছাড়া সাধারণ আসনের ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ৩৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে এখানে। এবারে নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ১৭ ভোট কেন্দ্রের ১২৪টি বুথে ৩৭ হাজার ৩৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই