অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনা নিয়ে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি ও গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা এক মিনিটে গোপালগঞ্জ পৌর পার্ক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার আয়শা সিদ্দিকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অপরদিকে, একই সময়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্য এবং ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, গণপূর্ত বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ, কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালীবাড়ী, সড়ক বিভাগ, রাজস্ব প্রশাসনের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার চত্বরে ভিড় জমায় শিশু, নারী, পুরুষসহ স্বর্বস্তরের মানুষ।
এছাড়া টুঙ্গিপাড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, বাংলাদেশ পুলিশ টুঙ্গিপাড়া থানা, ট্যুরিস্ট পুলিশ টুঙ্গিপাড়া জোন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা কৃষক লীগ, পৌর কৃষক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, নির্মাণ শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ পৌর ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবী লীগ উপজেলা শাখা ও মৎস্যজীবী লীগ পৌর শাখা।
এদিকে, ভোরে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রভাতফেরি বের করে বিভিন্ন সংগঠন। প্রভাতফেরিগুলো জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর পার্কের শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
শহীদ দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পাশে বিভিন্ন গাছে বাংলা বর্ণমালা দিয়ে সাজানো হয় বৃক্ষ। জেলার সরকারি-অধা সরকারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত করে টাঙানো হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিল।
বিডি প্রতিদিন/এমআই